ক্যান্সার আক্রান্ত বোনকে নিয়ে ভারতে বিপাকে সংসদের কর্মকর্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

জাতীয় সংসদের এক কর্মকর্তা ক্যান্সার আক্রান্ত বোন ও নিজের চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছেন। রোগীর সেবার জন্য যাওয়া তার আরেক বোনসহ মোট তিনজন সেখানে আটকা পড়ে আছেন।

দেশের বাইরে থাকার সরকারি আদেশের সময়সীমা শেষ হলেও তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। একটি ছোট কক্ষে বন্দি হয়ে আছেন। অন্যদিকে ক্যান্সার রোগী নিয়ে রয়েছেন মানসিক চাপেও।

সংসদের ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড আইটি শাখার সহকারী পরিচালক (ক্যামেরা) জয়ন্ত সরকার তার ক্যান্সার আক্রান্ত বোন সবিতা সরকারকে (৪৪) নিয়ে গত ৮ মার্চ ভারতে যান। সেখানে মুম্বাইয়ে বোনের চিকিৎসা ছাড়াও নিজের চিকিৎসা করেছিলেন।

টাঙ্গাইলের শিবনাথ হাইস্কুলের শিক্ষিকা সবিতা সরকারের চিকিৎসা শেষ হয়। কিন্তু ভারতে লকডাউনের কারণে আটকা পড়েন তারা। গত ৬ এপ্রিল সংসদের কার্যালয়ে যোগ দেয়ার কথা ছিল জয়ন্ত সরকারের। এজন্য মুম্বাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে চিঠিও দেন তিনি।

এ বিষয়ে জয়ন্ত সরকার বৃহস্পতিবার টেলিফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য এসে দুই বোনসহ মোট তিনজন মুম্বাইয়ে আটকা পড়ে আছি। টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে বোনের ক্যান্সার চিকিৎসা হচ্ছিল। আমার নিজেরও একটা ছোট সার্জারি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব হয়নি। এদিকে আমার সরকারি বহির বাংলাদেশ ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর ক্যান্সার রোগী নিয়েও মানসিক চাপে আছি। আমার বোনের দুই ছেলে বাংলাদেশে। তাদের জন্য বোন সব সময় কান্নাকাটি করে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ ভারতে চিকিৎসার জন্য যায়। এর বেশির ভাগই যান ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে (সিএমসি) চিকিৎসা নিতে। এ ছাড়াও ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, নয়াদিল্লিতে অনেক রোগী যান।

করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে কয়েক হাজার বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। এ নিয়ে জাগো নিউজ নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলেও, ভারতে লকডাউন চলায় সেটা সময়সাপেক্ষ বলে জানানো হয়।

এইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।