করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকরা পাচ্ছেন পাথওয়ের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সহযোগিতা চাইলেই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছে অলাভজনক সামাজিক সংগঠন ‘পাথওয়ে’।
গত ১৪ মে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন পর্যন্ত নয় গণমাধ্যমকর্মী ও তাদের পরিবার করোনায় আক্রান্ত হবার পর হাসপাতালে যাওয়া-আসার বন্দোবস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল রোববার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক ও তার স্ত্রীকে এবং আজ ঈদের দিনও এক সিনিয়র সাংবাদিককে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় পাথওয়ে টিম।
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতোই ঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যমে নিত্যদিনের খবর প্রচারে কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন কয়েকজন।
কিন্তু অন্যান্য জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা সরকারি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পেলেও পিছিয়ে রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে তাদের সুবিধা বিবেচনায় পাথওয়ে চালু করে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
‘পাথওয়ে’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন বলেন, জনগণের নিকট প্রতিদিনের সংবাদ পৌঁছে দেয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের বাইরে অবস্থান করতে হয়। প্রতি মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে কাজ করায় তাদের অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। দুর্যোগের এ সময়ে সামাজিক সংগঠন ‘পাথওয়ে’ গণমাধ্যমকর্মীদের হাসপাতালে নেয়া-আনার জন্য ২৪ ঘণ্টা ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, ‘পাথওয়ে’ গত ১৪ মে চালু করেছে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটি। এরই মধ্যে নয় গণমাধ্যমকর্মীকে এ সেবা দেয়া হয়েছে। রোববার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের করোনায় আক্রান্ত রিপোর্টার ও তার স্ত্রীকে পাথওয়ে টিম খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
আজ পবিত্র ঈদুল-ফিতরের দিনেও চালু রয়েছে পাথওয়ের সার্ভিসটি। সকালে করোনায় আক্রান্ত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিককে বাসা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সুবিধা বিবেচনায় ‘পাথওয়ে’র এ ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, সংগঠনটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারের ব্যবস্থা করে ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এছাড়া মানবিকতার তাগিদে পবিত্র মাহে রমজানে ট্রাফিক পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি সামাজিক সংগঠন ‘পাথওয়ে’। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নিজস্ব গাড়িতে করে ট্রাফিক বক্সে প্রতিদিন ছয় শতাধিক ইফতার পৌঁছে দেয় সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
এছাড়া ‘পাথওয়ে’ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘হ্যালো ডক্টর’ নামে টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে এবং লকডাউনে কর্মহীন মানুষের পাশপাশি, পথচারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতিদিন বিনামূল্যে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।
জেইউ/এমএআর/পিআর