৪ লাখ কিট অব্যবহৃত, বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুপারিশ
রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারিভাবে পরিচালিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যরা। তারা বলেছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করার ব্যাপারে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে ৪ লাখ নমুনা পরীক্ষার কিট অব্যবহৃত রয়েছে মন্তব্য করে তারা বলছেন, সরকারি পরীক্ষাগারগুলোতে নমুনা পরীক্ষার ফি মওকুফ করে আদেশ জারি করা প্রয়োজন। তবে বাসায় গিয়ে পরীক্ষার ফি বহাল রাখার ব্যাপারে তারা মত দেন।
গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) ও টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির তৃতীয় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। ওই সভায় করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে বিনামূল্যে আবারও করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরুর জোর চিন্তাভাবনা চলছে।
উল্লেখ্য, শুরুর দিকে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই বিনামূল্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ২০০ টাকা ও বাসায় ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বুথ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী থেকে সংগ্রহ করা নমুনার জন্য ১০০ টাকা এবং বাসা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এমইউ/এনএফ/জেআইএম