করোনায় কাজ নেই এমন ৩৭ হাজার প্রবাসীকর্মী দেশে ফিরেছেন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীকর্মীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। বিদেশ বিভুঁইয়ে নিরলস শ্রম ও কষ্টার্জিত অর্থ (রেমিট্যান্স) দেশে পাঠান। কিন্তু চলতি বছর মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর ভাগ্যে বিপর্যয় ঘটেছে।
গত সাত মাসে বিশ্বের ১১টি দেশ থেকে কাজ নেই তাই দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন এমন প্রবাসীকর্মীর সংখ্যা ৩৭ হাজারেরও বেশি। কাজ না থাকায় যে সকল দেশ থেকে প্রবাসীকর্মী ফেরত এসেছেন সেই দেশগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, তুরস্ক ও লেবানন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শুধু কাজ নেই এ কারণে ছাড়াও নানা কারণে হাজার হাজার প্রবাসীকর্মী দেশে ফিরে আসছেন। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ এপ্রিল থেকে গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এক লাখ ৭০ হাজার ৫৭৩ জন প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন।
তাদের মধ্যে এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৯১ জন পুরুষ ও নারী ১৭ হাজার ১৮২ জন। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম তিন দিনে ফেরত এসেছেন প্রায় পাঁচ হাজার প্রবাসী। প্রবাসীকর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফেরত এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজ না থাকার কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন এমন ১১টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৭১ জন, কাতার থেকে ১৩ হাজার ৮৭১ জন, মালয়েশিয়া থেকে সাত হাজার ৩৩৪ জন, থাইল্যান্ড থেকে ৩২ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন, ইরাক থেকে সাত হাজার ৬৩৯ জন, শ্রীলঙ্কা থকে ৫৪৫ জন, মরিশাস থেকে ৪৩৭ জন, তুরস্ক থেকে ছয় হাজার ২৩ জন ও লেবানন থেকে দুই হাজার ২১১ জন ফেরত এসেছেন।
কাজ না থাকার কারণ ছাড়াও চাকরির চুক্তির মেয়াদ শেষ, বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাসের মাধ্যমে, কেউবা ভিসার মেয়াদ না থাকায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত এসেছেন।
প্রবাসফেরত ২৮টি দেশের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসেন ৪৬ হাজার ৪৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৭৭৪ জন ও নারী তিন হাজার ২৬৯ জন।
সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার ৪৯৪ জন ফেরত আসেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ হাজার ৪৬৯ জন ও নারী ছয় হাজার ২৫ জন।
এছাড়া ফেরত আসা আরও বিভিন্ন দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্দান, ইতালি, লিবিয়া, হংকং ইত্যাদি দেশ রয়েছে।
এমইউ/বিএ/জেআইএম