১০ মাসের কোন মাসে কতজনের মৃত্যু
অডিও শুনুন
দেশে গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনসহ শনিবার (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সর্বমোট সাত হাজার ৫৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ১০ মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যু হয় জুলাই মাসে এক হাজার ২৬৪ জন এবং সর্বনিম্ন মার্চ মাসে মাত্র পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৮২ জন, জুনে এক হাজার ১৯৭ জন, আগস্টে এক হাজার ১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ৯৭০ জন, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৯১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ ও নারী ছয়জন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৫৯৯ জনে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বিভাগ হিসেবে ঢাকায় ১৪ জন, চট্টগ্রামে দুজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, রংপুরে তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দুজন রয়েছেন।
২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ৫৯৯ জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৭৩৩ জন (৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৮১৮ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৯২ শতাংশ)।
এমইউ/বিএ/এমএস