রাজধানীজুড়ে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রমকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের উদ্দেশে বের করা হয় তার মরদেহ। এরপর নেওয়া হয় গুলশানের তারেক রহমানের বাসায়। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন তার মেয়ে জাইমা রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। রয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার জানাজায় অংশ নিতে পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সরকারের একজন প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী ও বিশেষ দূত ঢাকায় আসছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জানাজা ও দাফন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীতে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জানাজার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এসময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বিএনপি মনোনীত রাজনীতিবিদরা উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তির বাইরে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত রাখা হবে।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হৃদরোগ ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কেআর/জেএইচ/এএসএম