‘আমাদের দেখেই বুঝতে পারবে, ভ্যাকসিনটা নিরাপদ’
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সসহ ৩০ জনকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে টিকা নিতে এসেছেন চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার কয়েকজন।
সকালে কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ জনকে টিকা দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখান থেকেই শুরু হচ্ছে টিকা দেয়ার কার্যক্রম। এ জন্য আমরা গর্বিত। টিকা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
টিকা নিতে আসা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরোজা জাহিন বলেন, করোনা যখন শুরু হয় আমাদের হাসপাতাল তখন সম্পূর্ণ করোনা ডেডিকেটেড ছিল না। তখন ভয় ছিল। সিনিয়ররা কাজ করতে সাহস জুগিয়েছিলেন। যখন আমাদের হাসপাতাল সম্পূর্ণ করোনা ডেডিকেটেড হয়, তখনও আমাদের সব ধরনের সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। তবুও ভয় ছিল, যেহেতু এটা ছোঁয়াচে রোগ।
তিনি আরও বলেন, তখন থেকেই স্বপ্নের মতো ছিল, একদিন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে, আমরাও সেই ভ্যাকসিন পাব। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। একদম প্রথমেই ভ্যাকসিন নিতে এসেছি। একটু ভালো লাগছে, আবার নার্ভাসও লাগছে।
এই চিকিৎসক বলেন, অনেকেই ভয়ে আছেন ভ্যাকসিন দেবে কিনা। আমরা টিকা নেয়ার পর আমাদের কিছুদিন অবজার্ব করা হবে। এরপর সবাইকে টিকা দেয়া শুরু হবে। আমাদের দেখে তারা বুঝতে পারবে, ভ্যাকসিনটা আসলেই সেফ এবং সবাই এই টিকা নিতে পারবে। টিকা নিয়ে করোনাকে পরাজিত করব।
সার্জেন্ট ল্যাবটেক আবদুর রহিম বলেন, আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমরা প্রথমে টিকা নিতে এসেছি। এটা আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল টিকা নিতে চাই কিনা, আমি রাজি হয়েছি। টিকা দিতে এসে কোনো ভয় পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, এই টিকা আমরা প্রথমে নিচ্ছি। এরপর আমাদের দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হবে।
চিকিৎসক অরুপ রতন বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক রকম কথা হচ্ছে। এটা নেয়ার পর আশা করছি এগুলো বন্ধ হবে।
সাংবাদিক মাসুদ রায়হান পলাশ বলেন, কোনো ভয় লাগছে না।
এসএম/এমএস