এই দিনে রেডিও পাকিস্তানের নাম বদলে রাখা হয় ‘ঢাকা বেতারকেন্দ্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ এএম, ০৪ মার্চ ২০২১

১৯৭১ সালের ৪ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের তৃতীয় দিনে সারাদেশে তুমুল বিক্ষোভ হয়। খুলনায় বাঙালি-অবাঙালিদের মাঝে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন নিহত হন। যতই দিন যাচ্ছিল, মুক্তির আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা ততই বাড়ছিল। সামরিক জান্তার সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এদিন ‘রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা’র নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ঢাকা বেতারকেন্দ্র’।

পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের নেত্রী কবি সুফিয়া কামাল ও মালেকা বেগম যৌথ বিবৃতিতে ৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা দফায় দফায় বৈঠকে বসেন ৭ মার্চের জনসভা সফল করার জন্য। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) চলতে থাকে জনসভার প্রস্তুতি।

মার্চ মাস জুড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কয়েক দফায় বৈঠক হয়। এনএসসি স্টাফ হেরল্ড স্যান্ডার্স ও স্যামুয়েল হকিনসন ৪ মার্চ কিসিঞ্জারকে তথ্য দেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান রোববার (৭ মার্চ) স্বাধীনতার ‘সমতুল্য’ ঘোষণা দেবেন।

এ দিকেই ঢাকাসহ সারাদেশেই গঠন হতে থাকে সংগ্রাম কমিটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুব ও ছাত্র নেতারা গোপনে নানা স্থান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ অভিযান চালাতে থাকেন বেশ জোরেশোরেই।

আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায় পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ওপর যেসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় ৪ মার্চের সভায়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ‘স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার না দিলে সাংবাদিকরা বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না।’

ইউনিয়নের সভাপতি আলী আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়, ‘মার্চের গণআন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যার বিচারের জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

এসএম/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।