আইসিইউতে আগুন : ঢামেকের ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর হোসেনকে প্রধান করে কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান নাজমুল হক।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ঢামেক-২ হাসপাতালের তৃতীয় তলার আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন করোনা রোগী মারা গেছেন।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, আইসিইউতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন তেমন বেশি না ছড়ালেও পুরো কক্ষ ধোঁয়ায় ভরে যায়। এ সময় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যরা রোগীদেরকে দ্রুত আইসিইউ থেকে সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল ৮টা ১৫ মিনিটে আইসিইউ থেকে দুজন রোগীকে উদ্ধার করে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘যে তিনজন রোগী মারা গেছেন তাদের কেউ অগ্নিদগ্ধ হননি। আগুন লাগার পর পরই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে করোনা আইসিইউতে ভর্তি ১৪ জন রোগীকে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে হাসপাতালের অন্যান্য আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীদের এমনিতেই শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন সাপোর্ট লাগে। দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডের কারণে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হতে পারে।’
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতর। বুধবার অধিদফতরের উপ-পরিচালক (অ্যাম্বুলেন্স) নূর হাসানকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন একজন ডিএডি ও দুজন ইন্সপেক্টর।
এমএসএইচ/এএসএম