আর্থিক সংকটে শুল্ক পরিশোধে ছাড় চায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজ
করোনাভাইরাসের কারণে অপারেশন বন্ধ থাকায় আবগারি শুল্কের কিস্তি পরিশোধে ছাড় চেয়েছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। অপারেশন চালু হলে সকল জোনের বকেয়া শুল্ক পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি আবগারি শুল্কে ছাড় চেয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেন রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এইচ জি এভিয়েশন লিমিটেডের (রিজেন্ট এয়ারওয়েজ নামে পরিচালিত) সমস্ত অপারেশন কোভিড-১৯ এর প্রথম ঢেউয়ের কারণে গত বছরের ২২ মার্চ হতে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাদের পরিচালিত আন্তর্জাতিক রুট চালু না হওয়ায় এবং বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর আন্তর্জাতিক রুট পুনরায় বন্ধ হওয়ায় অপারেশন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। তবে আমরা আন্তর্জাতিক রুট চালু সাপেক্ষে আমাদের অপারেশন চালু করব। ১১ মাস ধরে আমরা আয়শূন্য অবস্থায় রয়েছি। ফলে বর্তমানে বকেয়া আবগারি শুল্কের কিস্তির অর্থ পরিশোধে সম্পূর্ণরূপে অসমর্থ।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন, আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এককালীন ২০ কোটি টাকা এবং বিগত চার মাস প্রতি মাসে চার কোটি টাকা করে সর্বমোট ৩৬ কোটি টাকা আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হতে তহবিলের ব্যবস্থা করে সরকারি কোষাগারে জমা করেছি কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও নাজুক। ফলে বর্তমানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিলের ব্যবস্থা করার সুযোগ নেই।
শুল্কছাড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের অপারেশন চালু না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা জোনসহ দেশের সকল জোনের বকেয়া আবগারি শুল্কের টাকা পরিশোধে ছাড় প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি এবং পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি ও নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে আমাদের অপারেশন পুনরায় চালু হওয়ার সাথে সাথে আপনাদের দফতরে তা জানাব ও পরবর্তী মাস থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুনরায় সকল জোনের বকেয়া আবগারি শুল্কের টাকা পরিশোধ করে যাব। সেই সাথে চলতি আবগারি শুল্কের টাকাও পরিশোধ করব।
আইএইচআর/বিএ/এমএস