করোনা সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাস্কের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২১

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানেটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দামও বাড়ছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। বর্তমানে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণার পর মাস্ক পরার বিষয়ে সরকারের কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তাতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর দাম আবারও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ক্রেতারা পূর্বের চেয়ে বেশি দামে তা ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।

পল্টনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সামনে পাইকারি ও খুচরা মাস্ক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা স্বীকার করেন মাস্কের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে করোনা থেকে বাঁচার অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর দাম পূর্বের মতোই রয়েছে জানালেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তা গত এক সপ্তাহ আগের চাইতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সার্জিক্যাল মাস্ক এবং এন-৯৫ মাস্কসহ কাপড়ের তৈরি মাস্কের। বিভিন্ন এলাকার বিক্রেতারা জানান, আগে ৫০টির এক প্যাকেট সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০ টাকা, এবং ১০টির এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ২২৫ টাকা পাইকারি ক্রয় মূল্য ছিল।

বর্তমানে সার্জিক্যাল মাস্ক ১২৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, বিভিন্ন শোরুমে ভালো মানের সার্জিক্যাল মাস্ক সাড়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর এন-৯৫ মাস্ক ৩০ টাকায় নেমে এলেও বর্তমানে তা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানুষ নিজের সুরক্ষায় বেশি দাম দিয়ে এসব কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাস্কের দাম বেশি কেন জানতে চাইলে শিল্পকলা একাডেমির খুচরা বিক্রেতা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার লকডাউন ঘোষণা দেয়ার পর মাস্ক পরার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তাই এখন মাস্কের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে ঢাকায় মানুষ বেশি মাস্ক ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে এবং মফস্বল এলাকাতেও মানুষ মাস্ক পরছে। তাই মাস্কের চাহিদা পূর্বের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা বাড়ার কারণে মাস্কের দামও বেড়েছে।

বিএমএ ভবনের সামনে দাঁড়ানো মাস্ক বিক্রেতা খলিলসহ একাধিক বিক্রেতা জানান, করোনাভাইরাস শুরুর দিকে মাস্কের সংকট হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। এরপর ভাইরাসের প্রকোপ কমে এলে তা রাস্তার মোড়ে, পাবলিক বাসে, অলিগলিতে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আবারও মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ সকল জিনিসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে এসব পণ্যের।

রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ মাস্ক বিক্রেতা নুর হোসেন বলেন, ‘আগে আমি পাতলা (সার্জিক্যাল) মাস্ক ৫টা ১০ টাকায় বিক্রি করতাম। এখন সেটা ৩টা ১০ টাকায় বিক্রি করছি। এন-৯৫ মাস্ক ৩০ টাকায় বিক্রি করলেও সেটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। কাপড়ের মাস্ক ৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা বলেন, করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে কেউ বাণিজ্য করছে। এটি বন্ধ্যে সরকারের কড়া নজরদারির দাবি জানান তারা।

এমএইচএম/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।