বিএসএমএমইউতে ৫০ শয্যার আরেকটি করোনা ইউনিট চালু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২১

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শাহবাগ বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিকে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ নতুন এ করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে আয়োজিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে মানুষের মাঝে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু বেড়েছে। ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ফিভার ক্লিনিকে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যা নিয়ে বেতার ভবনের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি করা হবে। পরবর্তীতে আরও ৫০ শয্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বেতার ভবনে চালুকৃত নতুন করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি হবেন এবং তারা চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।

jagonews24

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ের কেবিন ব্লকে ২০০ শয্যা ও ২০টি আইসিইউ চালু রয়েছে। কেবিন ব্লকের করোনা ইউনিটে ২০টি কেবিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। আইসিইউ বেড আরও ১টি বৃদ্ধি করা হবে। অর্থাৎ কোভিড-১৯ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ১০০টি করোনা বেড, ১০টি আইসিইউ বেড এবং ২০টি কেবিন বৃদ্ধি করা হবে। কেবিনের সংখ্যা ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর , সিপিএপি মেশিন, আরটিপিসিআর মেশিন বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

এমইউ/জেডএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।