কোভিডের শুরুতে বায়ূদূষণ কমলেও আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে : বেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২১

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কোভিডের প্রথম দিকে বায়ূদূষণ অনেকটা কমে এলেও এখন আবার তা কোভিড পূর্ববতী অবস্থায় উপনীত হয়েছে।

প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আয়োজনে শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে অনলাইনে ‘প্রাণ প্রকৃতির ওপর করোনার প্রভাব এবং চলমান উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, সমগ্র বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা কোভিড মহামারির দ্বারা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের সুযোগের অভাবে কোভিড চলাকালীন সময়ে মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দেশের বন উজাড় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বন উজাড়ের হার বৈশ্বিক বন উজাড় হারের চেয়ে অনেক বেশি। ব্রিটিশ আমলের বন আইন ১৯২৭ দিয়ে এখনও চলছে বন ব্যবস্থাপনা। যেখানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বন বিভাগের দায়িত্ব-কর্তব্য সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।

দুঃখ প্রকাশ করে বেলার প্রধান নির্বাহী বলেন, পরিবেশ দূষণের সহায়ক উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে নীতিগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। কোভিডের প্রথম দিকে বায়ূদূষণ অনেকটা কমে এলেও এখন আবার বায়ুদূষণ কোভিড পূর্ববতী অবস্থায় উপনীত হয়েছে। গাড়ির ধোঁয়া ও চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বায়ুদূষণের কারণ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক দেশে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে দেশের শক্তি খাতের চাহিদা পূরণ ৩ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেয়া নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ছাড়াও আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রফেসর ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রফেসর আনু মুহাম্মদ। প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এই অনলাইন সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।