করোনার সঠিক ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জিনোম সিকোয়েন্সিং চালুর নির্দেশ
করোনাভাইরাসের সঠিক ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জিনোম সিকোয়েন্সিং চালুর নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) হাসপাতালের ডা. মিল্টন হলে আয়াজিত এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি এর জিনোম সিকোয়েন্সিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনার সঠিক ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এবং এর ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ নির্ণয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। যা প্রধানত আক্রান্ত রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
পরবর্তীতে এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে লিকুইড এবং সলিড টিউমার (ক্যান্সার) ডায়াগনোসিস কার্যক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশনা প্রদান করে উপাচার্য বলেন, ‘এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর্থিক ব্যয় যেমন সাশ্রয় হবে, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতাও হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যক রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করার সুযোগ আছে সেজন্য ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাসমূহ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শধু তাই নয়, উক্ত জিনোম সিকোয়েন্সিং বিষয়ে চিকিৎসকরা গবেষণালব্ধ জ্ঞান অজর্ণের পাশাপাশি এ বিষয়ে দেশ বিদেশে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশনারও সুযোগ পাবেন।’
সভায় অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু জেনোম সিকোয়েন্সিং বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাাসমূহ তুলে ধরেন। সভায় ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উলাহ মুন্সী, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিষ্ণু পদ দে তাদের বৈজ্ঞানিক মতামত প্রদান করেন।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন শিপন, সহকারী লাইব্রেরিয়ান ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, সহকারী লাইব্রেরিয়ান প্রভাষক ডা. মারুফ হক খান, সহকারী হল প্রভোস্ট ডা. ইলোরা শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন উপাচার্য তার কার্যালয়ে প্রশাসনিক মিটিং, অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (ওএসবি) এবং ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সভায় মিলিত হন। এ ছাড়াও এ ব্লকে করোনা চিকিৎসাসেবা প্রদান কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ও ডা. মিল্টন হলে ভার্চুয়ালি রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এমইউ/ইএ/জিকেএস