ঢাকার প্রবেশপথে কড়াকড়ি, ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না দূরপাল্লার গাড়ি
অডিও শুনুন
আশপাশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। ঢাকায় ঢুকতে কিংবা বের হতে দেয়া হচ্ছে না দূরপাল্লার যানবাহন।
দু-একটি গাড়ি ঢাকা থেকে বের হওয়া কিংবা ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের পড়তে হচ্ছে শাস্তির মুখে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে ঢাকার অন্যতম প্রবেশ পথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকার রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এই মহাসড়কে ঢাকার মধ্যে চলাচল করা বাসগুলোকে দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস সেভাবে চোখে পড়েনি।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর রুটে চলাচলকারী তিশা পরিবহনের একটি বাস এই মহাসড়ক পার হওয়ার সময় চেকপোস্টে পুলিশ আটকে দেয়। এরপর পুলিশ বাসটিকে মামলা দেয়।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত ডেমরা ট্রাফিক জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিষ্ণু শর্মা জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্দেশনা রয়েছে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারবে না এবং কোনো বাস ঢাকায় ঢুকতেও পারবে না। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি বলেন, ‘মূলত ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যানবাহন ছাড়া দূরপাল্লার বাস চলছে না। দু-একটি বাস চলে আসলে আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি।’
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করা হয়েছে।
সচিব জানান, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
আরএমএম/এমআরআর/জেআইএম