করোনায় বাড়ছে মৃত্যু : মে মাসে ১১৬৯, জুনে ১৮৮৪
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। গতকাল ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জুন বাদ দিয়ে গত ২৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিনই শতাধিক মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায়ই ঝরেছে ১৪৩ জনের প্রাণ, যা সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের মার্চে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ওই মাসে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। পরের মাস এপ্রিলে ঝরে ১৬৩ জনের প্রাণ। মে মাসে ৪৮২ জনের মৃত্যুর পর এ সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। জুনে এক হাজার ১৯৭ জন, জুলাইয়ে এক হাজার ২৬৪ জন এবং আগস্টে এক হাজার ১৭০ জনের প্রাণ কাড়ে করোনা। পরে আবার হাজারের নিচে নামে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা। সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয় ৯৭০ জনের, অক্টোবরে ৬৭২ জন, নভেম্বরে ৭২১ জন এবং ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় ৯১৫ জনের।
এ বছরের শুরুর দিকে মৃত্যু কমলেও বাড়তে থাকে মার্চের শেষ দিক থেকে। জানুয়ারিতে করোনায় প্রাণ হারান ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন এবং মার্চে ৬৩৮ জন। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ মাস হিসেবে আবির্ভূত হয় এপ্রিল। মাসটিতে মৃতের সংখ্যা প্রথমবারের মতো দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে করোনায় মৃত্যু হয় দুই হাজার ৪০৪ জনের। পরের মে মাসে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে। ওই মাসে এক হাজার ১৬৯ জনকে কেড়ে নেয় করোনা। আবার গত জুনে বেড়ে যায় মৃতের সংখ্যা। ওই মাসে মৃত্যু হয় এক হাজার ৮৮৪ জনের।
ভাইরাস সংক্রমণের বিষয় বিধায় জুনের শেষ দিকে যেভাবে মৃত্যু প্রতিদিনই শ’ ছাড়িয়েছে এবং জুলাইয়ের প্রথম দিনেই মৃত্যুর নতুন রেকর্ড (১৪৩) হয়েছে, তাতে এই মাস নিয়ে শঙ্কা ভর করছে জনমনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় আট হাজার ৩০১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। যদিও এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এমইউ/এইচএ/জিকেএস