গ্রেফতার-জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল
একদিকে সারা দেশে চলছে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন, অন্যদিকে হু হু করে বেড়েই চলেছে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৪ জন। সাধারণ মানুষ আক্রান্তের সংখ্যা জানতে আগ্রহী হলেও তাদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন আজ (মঙ্গলবার)। লকডাউন বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশেই কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তবে, এরই মধ্যে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কারণে-অকারণে, নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। রাজধানীতে বিনা কারণে বের হওয়ায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার, জরিমানা ও তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত পাঁচ দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় শুধু রাজধানীতেই গ্রেফতার হয়েছেন ২৬১৮ জন, ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ২ হাজার ৫৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এই গাড়ির মামলা থেকে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা।
কঠোর লকডাউনের ৫ দিনে রাজধানীতে ডিএমপির পরিসংখ্যান-
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ডিএমপির ৮টি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫৫০ জনকে। আর ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় চার লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ডিএমপির ৮টি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩২০ জনকে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ২০৮ জনকে। এছাড়াও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ২১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তৃতীয় দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ডিএমপির ৮টি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৬২১ জনকে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয় এক লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়াও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
চতুর্থ দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ডিএমপির ৮টি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৬১৮ জনকে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৬১ জনকে জরিমানা করা হয় ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়াও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
পঞ্চম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ডিএমপির ৮টি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫০৯ জনকে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৮৭ জনকে জরিমানা করা হয় এক লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়াও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ৫২৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
চলমান কঠোর লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ১৪৬০ জনকে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৫ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড করেন।
সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ৫ দিনে র্যাবের পরিসংখ্যান-
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই কঠোর লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১৮২ জনকে ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা জরিমানা করে র্যাব। এদিন সারাদেশে ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড দেন। এছাড়াও সারাদেশে র্যাবের ১৫৭টি টহল ও ১০৮টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে কঠোর লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২১৩ জনকে দুই লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা জরিমানা করে র্যাব। এদিন সারাদেশে ৫৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড দেন। এছাড়াও সারাদেশে র্যাবের ১৬৬টি টহল ও ১৪৫টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
তৃতীয় দিনে ২৭৭ জনকে এক লাখ ৯৮ হাজার ১৭৫ টাকা জরিমানা করে র্যাব। এদিন সারাদেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড দেন। এছাড়াও সারাদেশে র্যাবের ১৭২টি টহল ও ১৮১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
চতুর্থ দিন ৪৩৮ জনকে দুই লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করে র্যাব। এদিন সারাদেশে ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড দেন। এছাড়াও সারাদেশে র্যাবের ১৮৭টি টহল ও ২১১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
পঞ্চম দিনে ৩৫০ জনকে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৬১৫ টাকা জরিমানা করে র্যাব। এদিন সারাদেশে ৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড দেন। এছাড়াও সারাদেশে র্যাবের ১৯০টি টহল ও ২০৬টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
সড়কে বেড়েছে গাড়ি-মানুষ-রিকশা
টানা চারদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলেছে ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাতদিনের বিধিনিষেধে আগের চারদিন রাজধানীর সড়কে মানুষের সংখ্যা কম থাকলেও পঞ্চম দিন বাড়ে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ে পথচারী ও নানা প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচলও। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।
রাস্তায় যানবাহনের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে।
মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় দায়িত্বরত অবস্থায় পল্লবী ট্রাফিক জোনের পরিদর্শক বিমল সাহা বলেন, মানুষের মধ্যে লকডাউন ভাঙার মানসিকতা নেই। যারা বাইরে আসছেন, তারা জরুরি সেবায় নিয়োজিত। তারপরও শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত লেখা দেখলেই যে ছেড়ে দিচ্ছি তা নয়, আমরা প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করছি ও আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
বিধিনিষেধেই কাটতে পারে ঈদ-
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যু ও সংক্রমণের হার রেকর্ড ভাঙছে। কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই বিধিনিষেধের এই মেয়াদ শেষে ঈদুল আজহার বাকি থাকবে এক সপ্তাহ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি যে পর্যায়ে রয়েছে সহসাই তা নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই। তাই বিধিনিষেধের মধ্যেই কাটতে পারে এবারের ঈদ। কোরবানির পশু কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পন্ন করতে কিছুটা শিথিল হতে পারে বিধিনিষেধ। ঈদের সময় শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।
কোনো কারণে বিধিনিষেধ না থাকলেও, এই পরিস্থিতিতে সরকার ঈদের ছুটি দিলেও কর্মস্থল এলাকায় থাকতে হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। আবার ছুটি কমিয়েও দেয়া হতে পারে। যেমনটি গত ঈদুল আজহার সময় ছুটি একদিন কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জাগো নিউজকে বলেন, এবার হয়ত লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে কিন্তু এটার দীর্ঘমেয়াদি ফল রয়েছে। ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ, দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষার দিকটা বিবেচনায় আমরা কঠোরভাবে সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনের চেষ্টা করছি। সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একান্তই জরুরি ও অত্যাবশ্যক কারণ ছাড়া বা বিধিনিষেধের নির্দেশনার আওতার বাইরে যারা রয়েছেন তারা শুধু বের হতে পারছেন। এর বাইরে আমরা কিন্তু চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, যাদের কারণ যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কেউ যাচ্ছেন মাশরুম কিনতে, কেউ আবার যাচ্ছেন স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার অ্যাঙ্কলেট কিনতে, আবার কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি ধোলাইপাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন। এজন্য তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা জরিমানার চেয়ে সচেতনতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।
লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, লালবাগ বিভাগের ৬টি থানায় একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। আমরা প্রতিদিন কনভয় পেট্রলিং করছি, বিভিন্ন অলিগলিতে মোবাইল পেট্রলিং চলছে। ডিসি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। যারা সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করছেন তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি, আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে এমনকি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে স্পট ফাইন করা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীবাসী সচেতন হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা নিয়ম ভঙ্গ করতে অভ্যস্ত। বেশিরভাগ মানুষকেই সচেতন হতে দেখ গেছে। আগের তুলনায় মানুষের মাস্ক পরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরান ঢাকায় ছোট-ছোট কলকারখানা অনেক বেশি, অন্য এলাকার চেয়ে এখানে মানুষের সংখ্যাও বেশি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এখন বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না। সচেতনতার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। সবার প্রতি অনুরোধ পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই কটা দিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময় ঘরে থাকুন। অন্যথায় আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সরকার গত ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। দেয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। বিধিনিষেধের পাঁচদিন পার হতে চললেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কিন্তু সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে। এরমধ্যে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এই প্রেক্ষাপটে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
বিধিনিষেধে জরুরি সেবা দেয়া দফতর ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে খোলা রয়েছে শিল্প কারখানা। জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিধিনিষেধ ভেঙে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বা কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে।
টিটি/এসএস/এএসএম