শনাক্ত আজও ১১ হাজারের ওপরে
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আজও ১১ হাজারের ওপরই রয়েছে। সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১৬২ জনের দেহে এই ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।
এই সময়ে সারাদেশে রেকর্ড ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।
বুধবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৫ হাজার ৬৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ৩১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০১ জনের মধ্যে বয়সের হিসেবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন ও ষাটোর্ধ্ব ১১৫ জন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্টগ্রামে ২১, রাজশাহীতে ১৮, খুলনায় ৬৬, বরিশালে সাত, সিলেটে ৯, রংপুরে ১৪ ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ