একদিনে শনাক্ত প্রায় সাড়ে ১০ হাজার
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৪২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জনে।
এই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ৩৯৮ জনে।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন ও নারী ১০৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ জন ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বুধবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৪ হাজার আটটি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৪ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৩১৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের একজন, দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৮৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আশি-উর্ধ্ব ১৫ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা যান।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রাজশাহীতে ১০ জন, খুলনায় ২০ জন, বরিশালে আটজন, সিলেটে ২৩ জন, রংপুরে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/বিএ