শনাক্তের হার আরও কমলো
দেশে করোনা শনাক্তের হার আরও কমেছে। আজ শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের সামান্য বেশি। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর আগের দিন ছিল ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৪ হাজার ২২৯টি ও পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৭০৮টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১৪টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত ৫৬ দিনে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৯ জুন ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ৫১৩ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ২৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৯০৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩। সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৪ জনের মধ্যে ১০ বছরের নিচে একজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, আশি-ঊর্ধ্ব নয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪২ জন, চট্টগ্রামে ২৯ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, খুলনায় ১৩ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে নয়জন, রংপুরে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিএ/এমএস