নমুনা পরীক্ষায় ‘উত্তীর্ণ’ হয়ে আমিরাতে গেলেন আরও ২৩৯১ প্রবাসী
ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে একবার ও ছয় ঘণ্টা আগে একবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গেছেন প্রবাসীকর্মীসহ দুই হাজার ৩৯১ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ ও অনুমোদনক্রমে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিমানবন্দরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ইউএইগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষায় ‘উত্তীর্ণ’ হয়ে আমিরাতে গেছেন ৩৫ হাজারেরও বেশী প্রবাসীকর্মী ও যাত্রী।
ইউএই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে একবার ও ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে আরেকবার পৃথক ১০টি বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে— সেগুলো হলো, স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্য়ন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫২০ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবাসী কর্মী। নির্ধারিত ১ হাজার ৬০০ টাকা ফি সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় পরিশোধ করছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে ইউএইগামী ২ হাজার ৩৯১ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে কারো পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ইউএইগামী বিভিন্ন ফ্লাইট ও যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। বিমানবন্দরে যে ছয়টি ল্যাব রয়েছে সেগুলোতে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে, ইউএগামী ফ্লাইটের সিডিউল কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ডেস্কের কর্মরতরা। এ সমস্যা নিরসন হলে নমুনা পরীক্ষা কার্য়ক্রম আরও সুষ্টু ও সুন্দর হবে বলেও অভিমত দেন তারা।
এমইউ/এমএএইচ/জেআইএম