এএসপি পরিচয়ে করতেন প্রেম, হাতিয়ে নিতেন ফ্রিজ-টিভি-নগদ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকা থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণাসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ। তার নাম মো. রাজ আল আবির।

ডিবি বলছে, গ্রেফতার আবির সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিচয় দিয়ে মাদককারবারিদের ধরে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। এছাড়া উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিভাবকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একজন ভুয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার কাফরুল থানার পূর্ব শেওরাপাড়ার অরবিট গলির একটি বাসায় অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাসা থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পালানোর সময় একজনকে আটক করা হয়। আটকের পর তার কাছ থেকে একটি পিস্তলসদৃশ মেটালিক লাইটার, দুটি পিস্তলের কাভার, বিভিন্ন ব্যাংকের ৯টি এটিএম কার্ড, রাজ আল আবির নামের ভুয়া সহকারী পুলিশ কমিশনারের ৩০টি ভিজিটিং কার্ড ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানান, তিনি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিচয় দিতেন । মাদককারবারিদের ধরে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। বিরোধপূর্ণ জমি ও ফ্ল্যাটের বিরোধ মীমাংসার কথা বলে উভয়পক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন তিনি। আবির উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে ফ্রিজ, টিভিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাকিতে কিনে টাকা পরিশোধ করতেন না।

এসি মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গ্রেফতার আবির মিথ্যা পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেন। পরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ করে ঢাকার শেওড়াপাড়ায় একটি বাসায় আটকে রেখে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এ সংক্রান্ত ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের খুলশী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাও হয়।

তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

টিটি/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।