দেড় মাস পর উঠলো বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৮ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের মুখে সরকার আরোপিত বিধিনিধেষ প্রায় দেড় মাস (৩৯ দিন) পর তুলে নেওয়া হলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও বাংলাদেশে এ রোগের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সারাদেশে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। নতুন বছরের প্রথম ওই বিধিনিষেধে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ফলে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন তারা সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন। অন্যদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকতে হবে।

এদিকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে। নতুন করে আর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

তবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যাওয়া এবং গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার ওপর জোর দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে ৫ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার।

এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।