২৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি, বিলাসবহুল রোলস রয়েস জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২২

আমদানি করা বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শুল্কায়ন না করেই গাড়িটি সরিয়ে ঢাকার বারিধারায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করে হংকং ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেড।

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুলতান মাহমুদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুল্কায়ন করার আগেই অবৈধভাবে খালাস করে গাড়িটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ঢাকায়।

jagonews24

এদিকে শুল্কমুক্ত সুবিধার ব্যত্যয় ঘটিয়ে গাড়ি সরানোর মাধ্যমে ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের এই গাড়ির বাজারমূল্য শুল্কসহ প্রায় ২৭ কোটি টাকা। 

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই গাড়ির সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ৬ হাজার ৭৫০। এ ধরনের গাড়িতে শুল্কায়িত মূল্যের আট গুণ শুল্ককর দিতে হয়। এটি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল ধরনের গাড়ি। এর উৎপাদন সাল ২০২১। মডেলের নাম কুলিনান এসইউভি।

jagonews24

এপ্রিল মাসে গাড়িটি আমদানি করা হয়। এরপর এটি নেওয়া হয় চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার ফ্যাক্টরিতে। এরপর শুল্কায়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করা হয় কাস্টমস হাউজে। তবে শুল্কায়নের আগেই ১৭ মে গাড়িটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ঢাকার বারিধারায় বাসায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে চট্টগ্রাম ইপিজেডে অভিযান চালায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। কিন্তু তখন গাড়িটি ইপিজেডের কারখানায় পাওয়া যায়নি। এরপর ৪ জুলাই ঢাকার বারিধারায় আমদানিকারকের নিজ বাসায় চালানো হয় অভিযান।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খান। এসময় ওই বাসার গ্যারেজে লুকানো থাকা গাড়িটি জব্দ করা হয়।

jagonews24

শামসুল আরেফিন খান জাগো নিউজকে বলেন, গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হয়েছিল। তবে যে এসআরও বলে গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নেওয়া হয়েছে, তাতে দুই হাজার সিসি পর্যন্ত সুবিধা মেলে। কিন্তু ওই গাড়ির বনেটে লেখা স্টিকারে দেখা যায়, এটি রোলস রয়েস মোটরকার। যার সিসি ছয় হাজার ৭৫০।

ফলে এসআরও’র সুবিধা এই গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়। তাই গাড়িটি শুল্কায়নে দিতে হবে ২৪ কোটি টাকার শুল্ক।

যা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।

বর্তমানে গাড়িটি ঢাকা কাস্টমস হাউজের শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

ইকবাল হোসেন/এসএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।