সংসদে হচ্ছে না ডেপুটি স্পিকারের জানাজা
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত মো. ফজলে রাব্বীর নামাজে জানাজা জাতীয় সংসদে হচ্ছে না। করোনার কথা উল্লেখ করে অন্যান্য এমপির মতো তিনিও সংসদে জানাজা পাচ্ছেন না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বরং মরদেহ ঢাকা পৌঁছানোর পর ডেপুটি স্পিকারের প্রথম জানাজা হবে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে। সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজার পর শেষ শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে তার মরদেহ।
শনিবার (২৩ জুলাই) ডেপুটি স্পিকারের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোমবার দেশে আসছে জাতীয় সংদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বীর মরদেহ। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পৌঁছাবে।
জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে দুপুরে হেলিকপ্টারে ফজলে রাব্বীর মরদেহ দেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধার সাঘাটায়। সেখানে বিকেল ৩টায় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার পরে গটিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানে আরেকটি জানাজা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সাতবারের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী শুক্রবার বিকেল ৪টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে মারা যান। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মো. ফজলে রাব্বী ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এইচএস/এমআরএম/জেআইএম