১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট চায় ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু কত আসনে এই মেশিন ব্যবহার হবে তা নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলেছে ইসি। সবশেষ ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনে অর্ধেক আসনেই ব্যবহার হবে ইভিএম।

এগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার হবে। অবশিষ্ট ১৫০ আসনে ভোট হবে ব্যালটের মাধ্যমে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসির ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপে বা কর্মপরিকল্পনাতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ইসি জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে ইভিএম ব্যবহারে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

ইভিএম কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তার যুক্তিও তুলে ধরেছে ইসি। রোডম্যাপে বলা হয়েছে, ইভিএমে কোনো প্রকার জালিয়াতির সুযোগ নেই।

ইভিএমের পক্ষে ইসির যুক্তি

বায়োমেট্রিক যাচাই করে ভোট দেওয়ার সিস্টেম থাকায় জাল ভোট অর্থাৎ একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই। ওয়ান টাইম চিপস ব্যবহার ও এমবেডেড পার্টস থাকায় একই সঙ্গে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারেন না। একই ইভিএম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহার হয় বিধায় প্রোগ্রামে জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। বিল্টইন ঘড়ি থাকায় নির্বাচন সময় আরম্ভ হওয়ার আগেও ভোট দেওয়া যায় না। একইভাবে ভোট সময় শেষ হলে প্রিজাইডিং অফিসার বন্ধ বাটনে চাপ দিলে এরপর ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। ভোট গণনা করতে হয় না, বাটনে চাপ দিলেই ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছামত বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব কিন্তু ইভিএমে এ ধরনের অন্যায় করার সুযোগ নেই।

ইসি দাবি করছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৪৪-৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে ১২টি আসনে ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ১৯টি উপজেলায় ২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ১৭১টি পৌরসভায় ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ৫১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট হয়েছিল।

ইসি রোডম্যাপে উল্লেখ করেছে, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এর পক্ষে মত দিয়েছে ১৭টি দল। আর ১২টি দল এর বিপক্ষে মত দিয়েছে।

এইচএস/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।