চালকদের নিয়ে কর্মশালায় পরিবেশমন্ত্রী

সভ্য-সুস্থ সমাজ গঠনে অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২২
সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বক্তব্য দিচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন

সুস্থ ও সভ্য সমাজ গঠনে অযথা হর্ন বাজানো বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, অমনোযোগিতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং বধিরতাসহ প্রায় ৩০ ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। শব্দদূষণের কারণে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে শিশু। এজন্য হাইড্রলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধসহ সব ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পরিবহনচালক ও শ্রমিকদের সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, শব্দদূষণের সব উৎস আমরা সম্মিলিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সরকারের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে, বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্প। শুধু মামলা ও শাস্তি দিয়ে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে গাড়িতে সঠিক মাত্রার হর্ন লাগাতে হবে, গাড়িচালককে অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে।

সব যানবাহনকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, পথচারীরা নিয়ম মেনে রাস্তা পারাপার হলে হর্ন বাজানোর প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, নির্মাণ কাজে নিয়ম মেনে ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে শব্দদূষণ কমে আসবে।

সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দের মাইক ব্যবহার বর্জন করা যেতে পারে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, সচেতন ও নিয়ন্ত্রিত আচরণই শব্দদূষণের সব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনা, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।

আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।