জি-১০০ আজীবন সম্মাননা পেলেন হালিদা হানুম, পুরস্কৃত আরও ৪ নারী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২২

জি-১০০ আজীবন সম্মননা পেলেন ডা. হালিদা হানুম আখতার। এছাড়া চিকিৎসা ও কল্যাণকর কাজে অবদান রাখায় আরও চারটি পুরস্কার পেয়েছেন চারজন নারী।

৩০ বছর ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সোসাইটি ফর গ্রামীণ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীদের কমিউনিটি ম্যাটারনিটি প্র্যাকটিশনার হিসেবে প্রশিক্ষণদানে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননা পান হালিদা হানুম ।

বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে চারটি জি-১০০ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পেশাদার হিসেবে অসামান্য কাজের জন্য ডা. রুমানা দৌলা ও ডা. নার্গিস আরা বেগম, পুনর্বাসনে ডা. রুবাইয়া আলী এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা ও কল্যাণকর কার্যক্রমের জন্য পুরস্কার পান ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাংবাদিক জয়শ্রী জামান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজয়ীরা।

পুরস্কার পাওয়া জয়শ্রী জামান বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে মনোযোগী বিটিএফ। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ আত্মহত্যা হয়ে থাকে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোতে। বৈশ্বিকভাবে পুরুষের আত্মহত্যা বেশি। তবে উপমহাদেশে ৭৫ শতাংশই নারী।

আত্মহত্যাকে অপরাধের আওতায় বা কলঙ্কজনক ইস্যু হিসেবে না রেখে, মানসিক স্বাস্থ্যের আওতায় আনার আহ্বান জানান জয়শ্রী জামান।

২০১৪ সালে দুই সন্তান চিরশ্রী জামান মনমন (১৯) ও মুহাম্মাদ বীন আলীমকে (মুহাম্মাদ) হারান বাসস সাংবাদিক জয়শ্রী জামান। একই দিনে আত্মহত্যা করেন এ দুই কিশোর-কিশোরী। হৃদয় বিদারক এ ঘটনার পর তিনি গড়ে তুলেছিলেন আত্মহত্যা প্রতিরোধমূলক সংগঠন ‘ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন (বিটিএফ)। ২০১৫ সাল থেকে তিনি আত্মহত্যা প্রতিরোধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এইচ ই অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন জি-১০০-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডা. হারবিন অরোরা রাই। স্বাগত বক্তব্য দেন জি-১০০ বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারজানা চৌধুরী। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, চীন ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের জি-১০০-এর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিচারকদের বাছাইপর্ব শেষে একজনকে আজীবন সম্মাননা ও চারজনকে জি-১০০ বিজয়ী ঘোষণার নেপথ্যে যারা বিচারের রায় প্রদান করেন তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিউিট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. এম মাইনুল হাফিজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাবুবুর রহমান, জিডি এসিস্ট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ, রিসার্চ অ্যান্ড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড (আরসিএস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাদিয়া বিন্তে আমিন।

এমইউ/এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।