ফ্লাইটে বোমাজাতীয় বস্তু সামাল দিতে মহড়া শাহজালালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

বেলা ১০টা ৪৭ মিনিট। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাওয়ারে এলো এক বার্তা। বলা হলো, সৈয়দপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট আসছে এবং ওই ফ্লাইটে বোমাজাতীয় বস্তু আছে। বার্তাটি পেয়েই জরুরি মুহূর্ত মোকাবিলায় নেমে পড়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এর নিরাপত্তায় থাকা সংশ্লিষ্টরা।

শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রথমে উড়োজাহাজটিকে রানওয়ের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। এরপর থ্রেড অ্যাসেসমেন্ট কমিটির সভা, সংশ্লিষ্টদের অবহিতকরণ ও নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে একে একে সব যাত্রীকে উড়োজাহাজ থেকে নামানো হয়। প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয় এবং উড়োজাহাজ তল্লাশি করে পাওয়া যায় বোমাসাদৃশ বস্তুটি। সব মিলিয়ে বিমানবন্দরে বোমা হুমকি পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এভাবেই শাহজালাল বিমানবন্দরে হয়ে গেলো জরুরি মুহূর্তের প্রস্তুতি মহড়া। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এ মহড়ায় অংশ নেন এভিয়েশন সিকিউরিটি, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বিমানবাহিনী, ও সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াডসহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর প্রায় চার শতাধিক সদস্য।

এই মহড়ার আগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে যেকোনো জরুরি মুহূর্ত মোকারিবলায় অংশীজনদের প্রস্তুতি আছে। তবে সে প্রস্তুতি হালনাগাদ রাখতে প্রশিক্ষণ ও মহড়া প্রয়োজন। মহড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৫০ মিনিটের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পন্ন করেছে। দ্রুততার সঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

ফ্লাইটে বোমাজাতীয় বস্তু সামাল দিতে মহড়া শাহজালালে

এম মফিদুর রহমান বলেন, আইকাওয়ের ১৮ ধারায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি আছে। এটা বাস্তবায়ন করা না গেলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃত হবে না শাহজালাল বিমানবন্দর। তাই জরুরি মুহূর্তে কী করণীয় তা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টদের মহড়ার মাধ্যমে নিয়মিত অবহিত করতে হবে।

এ মহড়ার নেতৃত্ব দেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম। মহড়াস্থলে অন সিন কমান্ডারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ডেপুটি অন সিন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এভিয়েশন সিকিউরিটির পরিচালক উইং কমান্ডার শাহেদ আহমেদ খান।

কামরুল ইসলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনর এনেক্স-১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিমানবন্দরে হাইজ্যাক, অগ্নিনিরাপত্তা, বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা প্রমাণে প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরনের মহড়া আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল সময় পর্যবেক্ষণ করা। প্রত্যেক সংস্থার সমন্বয় ঠিক আছে কি না সেটি দেখা। সংস্থাগুলো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না আমরা সেটি দেখেছি।

এমএমএ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।