পিএসএলে চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ
গ্রুপ পর্বে রীতিমত ধুঁকছিল তারা। অথচ গ্রুপপর্ব থেকে কোনোমতে কোয়ালিফায়ারে ওঠা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডসই হয়ে গেলো পিএসএল প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ৬ উইকেটে সহজে হারিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো মিসবাহ-উল হকের ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
পিএসএলের ফাইনালটা হয়েছে অবশ্য ঠিক ‘ফাইনালে’র মতো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চায় সবাই। ম্যাচ হবে হাই স্কোরিং। এরপর সেই রান তাড়া করতে গিয়ে তৈরি হবে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। সবশেষে বিজয়ীর হাসি হাসবে কেউ।
তবে, পিএসএলের ফাইনাল হাই স্কোরিং হলেও উত্তেজনা খুব বেশি ছিল না। কারণ কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের দেয়া ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জ শুরু থেকেই সহজ বানিয়ে নেয় ইসলামাবাদ। অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হ্যাডিন আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথের ব্যাটে ভর করেই প্রথম থেকেই টার্গেট তাড়া করতে থাকে ইসলামাবাদ।
যে কারণে শেষ পর্যন্ত কাজটাকে আর কঠিন মনে হয়নি এবং ৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ। অসাধারণ ব্যাটিং করে ফাইনাল সেরার পুরস্কার জিতেছেন ডোয়াইন স্মিথ।
ম্যাচটা ছিল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস এবং পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের মর্যাদার লড়াইও। দু’জন যে দু’দলের কোচ! কোয়েটার কোচ ভিভ রিচার্ডস। আর ইসলামাবাদের ডিরেক্টর কাম বোলিং কোচ ওয়াসিম আকরাম। দলটির মূল কোচ ছিলেন অবশ্য ডিন জোন্স। শেষ পর্যন্ত জয় হলো ওয়াসিম আকরামেরই।
টি-টোয়েন্টির ফাইনালের মতো একটি ম্যাচে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জ খুব কম কথা নয়। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস যখন ১৭৪ রান করেছিল, তখন তাদের সমর্থকরা এক প্রকার জয়ই ধরে নিয়েছিল; কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ডোয়াইন স্মিথ আর শারজিল খান মিলে কোয়েটার হাসি কেড়ে নিতে শুরু করেন।
৫৪ রানে শারজিল খান বিদায় নিলেও স্মিথ আর ব্র্যাড হ্যাডিন মিলে ইসলামাবাদকে জয়ের পথেই নিয়ে যেতে শুরু করেন। দু’জনের ৮৫ রানের জুটিই শেষ পর্যন্ত জয়ের পথ দেখায় ইসলামাবাদকে।
৫১ বলে ৭টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কায় ৭৩ রান করে আউট হন স্মিথ। হাফ সেঞ্চুরি করেন হ্যাডিনও। ৩৯ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে, ম্যাচের উইনিং শটটা আসে মিসবাহ-উল হকের ব্যাট থেকেই। এক বলে এক রান করে ইসলামাবাদকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
এর আগে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে কোয়েটাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ইসলামাবাদ অধিনায়ক মিসবাহ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিসমিল্লাহ খানের উইকেট হারায় কোয়েটা। তবে আহমেদ শেহজাদ আর কেভিন পিটারসেনের ব্যাটে ঘরে দাঁড়ায় তারা। ১৮ বলে ১৮ রান করে পিটারসেন আউট হয়ে গেলেও আহমেদ শেহজাদ এবং কুমার সাঙ্গাকারা মিলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে কোয়েটাকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।
৩৯ বলে ৯টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন শেহজাদ। ৩২ বলে ৭টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন সাঙ্গাকারা। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে কোয়েটা।
আইএইচএস/বিএ