বিমানবন্দরে চাকরির আড়ালে ইরানে মানবপাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
গ্রেফতার মাহামুদুল হাছান ও জাহাঙ্গীর আলম (মাঝের দুজন)

মো. মাহামুদুল হাছান (২৭)। চাকরি করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসি সার্ভিসের। আর সিভিল এভিয়েশনে চাকরি করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা (৪১)। কিন্তু এই পেশার আড়ালে তারা দুজনে করেন মারাত্মক অপরাধ। সেটা মানবপাচার।

এজন্য তাদের একটা চক্র রয়েছে। এর কিছু সদস্য থাকেন দেশের বাইরে। আর হাছান ও বাদশা বাংলাদেশে থেকে মানবপাচারের প্রথম কাজটা করেন। এ জন্য বিদেশগামী ইচ্ছুকদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রথমে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই পাঠান। এ জন্য নেন অগ্রিম টাকা। দুবাইয়ে আবার তাদের সহযোগীরা থাকেন। সেখানে যাওয়ার পর, এই বিদেশগামীদের মারপিট করে তাদের কাগজপত্র কেড়ে নেন তারা। এরপর তুলে দেন ইরানী দালাল চক্রের হাতে।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না মানবপাচার মামলা

রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে মাহামুদুল হাছান ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারের পর সিআইডিকে এসব তথ্য জানান তারা। এর আগে তাদের আরেক সহযোগী আ. সালাম ওরফে সালামত উল্লাহকে (৩৪) গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডি জানায়, এই দালাল চক্রের সদস্যরা সমুদ্রপথে পাচার হওয়া মানুষদের ইরানে নিয়ে একই পন্থায় আটক রেখে মারপিট করেন। এরপর দেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে মারধরের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণের টাকা দিতে বাধ্য করেন।

আরও পড়ুন: ‘ফেসবুক-টিকটকের কারণে বাড়ছে মানবপাচার’

সিআইডি জানায়, গ্রেফতার মাহামুদুল হাছানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরে, আর আলম বাদশার বাড়ি লালমনিরহাট সদরে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।