অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য পায়ে শেকল দিয়ে আটকে রাখতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থেকে অপহরণের শিকার হওয়া রিকশাচালককে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় হাটহাজারী থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। একই সময়ে আরেক ভিকটিমকেও উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে র‍্যাব-৭ এর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে হাটহাজারী থানার বারৈহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

গ্রেফতাররা হলেন- হাটহাজারির পশ্চিম ধলই গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ওরফে কালু চেয়ারম্যান (৬৮), নোয়াখালীর চরজব্বার থানার মো. খোকন (৩২), একই থানার পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের মো. ইউসুফ (৩৬), একই গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে মো. সেলিম (৫১), সুবর্ণচর থানার চরপানাউল্লাহ গ্রামের মো. আলা উদ্দিন (৩৭), একই গ্রামের মো. নাজিম (৩৬), চরভাগ্যা গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম (৪৮) এবং নোয়াখালী সদর থানার গোড়াপুর গ্রামের মো. মোস্তফা শহিদুল্লাহ রাজু (৩৩)।

র‍্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, ২০ জানুয়ারি উত্তর হালিশহর এলাকা থেকে এক রিকশাচালককে অপহরণ করে হাটহাজারী এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ২১ জানুয়ারি সকালে হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের পিতা। এরপর ভিকটিমের বাবার মোবাইলে অপহরণকারীরা ফোন করে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে ২৬ জানুয়ারি রাত দুইটার দিকে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমসহ আরেক ভিকটিমকে পায়ে লোহার শেকল ও হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এসময় অপহরণকারী চক্রের ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ নানান বয়সী লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রাখতো। ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে চাঁদা আদায় করতো। তাদের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ইটভাটায় কাজ করাতো। রাতের বেলা পায়ে শেকল বেঁধে খুঁটির সঙ্গে তালা মেরে রাখতো।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।