দক্ষিণ সিটির প্রকল্পে সহযোগিতা দিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নেওয়া নানা প্রকল্পে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগর ভবনে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এসময় মেয়র তাপস কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নেওয়া নানা উদ্যোগ ও প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করলে রাষ্ট্রদূত এসব প্রকল্পে তার দেশের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান।

লি জ্যাং কিউন বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সব উন্নয়ন প্রকল্প ইআরডি হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও অর্থায়নকারী এজেন্সির কাছে যায়। এক্ষেত্রে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) অর্থায়ন করতে পারে। এ ধরনের কোনো প্রস্তাব সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে গেলে আমরা তা দ্রুততার সঙ্গে ও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবো।

এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপসকে বাংলাদেশ-কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বিষয়ে জানান।

https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/2-20230127091103.jpg

মেয়র তাপস বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশ সম্পর্ক খুবই সুদৃঢ় ও সময়ের পরিক্রমায় পরীক্ষিত। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে অনন্য মাত্রা দিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো।

রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে নানা রকম প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার দেশের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। এছাড়া বাংলাদেশ-কোরিয়া সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি আরও মজবুত করতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ঢাকায় কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জাংইয়ল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।