ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার

পুলিশের নজর এখন রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এখন রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে বিশেষ নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাজের কারণে পুলিশ ফোর্স বিভিন্ন জায়গায় সম্পৃক্ত ছিল। এখন আমরা রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে নজর দিচ্ছি।’

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রাজধানীতে অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে এম হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, বিট পুলিশ ও থানা পুলিশকে রাজধানীর অপরাধ দমনে সবসময় নির্দেশনা হয়ে থাকে। কখনও যদি অপরাধ বেড়ে যায়, তখন আমরা বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে চেষ্টা করি তা কমানোর। কিন্তু অপরাধ একেবারে নির্মূল করা খুবই কঠিন। যারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, তাদের যদি ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অপরাধটাও কমিয়ে আনতে পারবো। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার, ফোনালাপে বের হয় হত্যার রহস্য

তিনি বলেন, পুলিশ যেমন অপরাধীদের ধরতে কৌশল অবলম্বন করে, তেমনি যারা অপরাধ করে তারাও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই, যেখানে কেউ তাকে দেখতে পারবে না, সেখানেই অপরাধগুলো করে তারা। অপরাধের যে ধরন ও প্রক্রিয়া, তা শুধু পুলিশিং দিয়েই একদম নির্মূল করার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। কারাগারে গিয়ে অপরাধীরা সংশোধন বা অন্য কোনো পেশায় যাবে, সেটাও হচ্ছে না।

হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা শহর ২৪ ঘণ্টা কর্মব্যস্ত থাকে। দিনের বেলায় যেমন অফিসে সবাই ব্যস্ত থাকে। রাতের ঢাকায় ব্যাপক হারে ট্রাক ঢোকে। কাঁচাবাজারে বিভিন্ন পণ্য যারা বিক্রি করেন, সেখানে বাজার খুবই সক্রিয় থাকে। যারা রাতের বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে বাইরে থেকে আসেন, তারা যখন গভীর রাতে চলাচল করেন তখন অপরাধীদের ফাঁদে পড়েন। আমরা একটা বিষয় দেখেছি যে, অপরাধীরা সবসময় চেষ্টা করে, তারা যেন ধরা পড়তে না পারে, সেভাবেই তারা অপরাধটা করে।

আরও পড়ুন: ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা

তিনি আরও বলেন, অপরাধটা যারাই করেন, আমাদের প্রথম কাজটি হলো ঘটনা ও অপরাধীকে চিহ্নিত করা। আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করি। তাদের সবসময় নজরদারিতে রাখতে পারলে অপরাধ কমে যাবে। একটা বিষয় দেখেছি, চুরি বলেন আর ছিনতাই বলেন ব্যাপক হারে গ্রেফতার করতে পারলে কমে যায়। যখন তারা আবার বেরিয়ে (জেল থেকে) আসে, এখন আবার ঘটনা বেড়ে যায়।

গত সপ্তাহে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হত্যা প্রসঙ্গে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় এরইমধ্যে অনেকেই গ্রেফতার করা হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, তা খুঁজে বের কতে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে জানা যাবে, আসলে ঘটনাটা কী।’

আরও পড়ুন: রাজধানীর ২ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১৪

ঢাকার আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির গ্রেফতারের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সিটিটিসি এটা নিয়ে তদন্ত করছে। তারা বিষয়টির অগ্রগতির বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।’

আরএসএম/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।