সীতাকুণ্ডে সিএনজিচালক একরাম হত্যা
আরও দুই আসামির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সিএনজিচালক একরাম হোসেন (২০) হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে গ্রেফতার হওয়া আরও দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে তারা এ জবানবন্দি দেন। আসামি নূর আহাম্মদ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহাম্মদ খোন্দকারের আদালতে এবং আরেক আসামি মো. জাহেদ হোসেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি শেষে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এ নিয়ে মামলায় গ্রেফতার হওয়ার চার আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এস আই মো. শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সীতাকুণ্ডে সিএনজি অটোরিকশার লাইনে গাড়ি চালানোতে চাঁদা আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিএনজিচালক একরাম হোসেনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আমরা চারজনকে গ্রেফতারে করেছি। এর মধ্যে রানা ও সাকিব তিন দিনের রিমান্ড শেষে রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া নূর আহম্মদ ও জাহেদ হোসেনকে আদালত চার দিনের রিমান্ড দিয়েছিলেন। রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। দুই আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ক্লুলেস সিএনজিচালক একরাম হোসেন (২০) হত্যা মামলার সাড়ে চার মাস পর তদন্তে নেমে চার আসামিকে গ্রেফতার করে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রিমান্ডে থাকা আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরাটি ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
মূলত গ্রেফতার হওয়া আসামি নূর আহাম্মদ সীতাকুণ্ড থানার দক্ষিণ বাইপাস সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। নূর আহম্মদের লাইনে সিএনজি অটোরিকশা চালাতে হলে প্রতি মাসে সিএনজি অটোরিকশা প্রতি ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। কিন্তু একরাম ওই লাইনে গাড়ি চালাতে গেলে নূর আহম্মদ চাঁদার ৫ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু একরাম অপরাগতা প্রকাশ করা হয় নূর আহম্মদসহ গ্রেফতাররা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত একরামের ভাই নুরুল হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করে।
দীর্ঘ সময়ে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পিবিআই স্বউদ্যোগে মামলার তদন্তভার নিয়ে ঘটনার প্রায় ৪ মাস ২২ দিন পর গত ২৬ জানুয়ারি ৪ আসামিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভা ও বারবকুন্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
ইকবাল হোসেন/এমআরএম