প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের এই ছাত্রছাত্রীরা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সোনার ছেলে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসি ৮ নম্বর ফ্লোরে পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোনো দিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চল দেশের জন্য এক বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খান ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন।

এ সময় বিচারক মণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও সিটি এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের, ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাত জাহান উর্মী, লেখক, বিতর্ক সংগঠক ও নাট্যকার অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক নীল মাহবুব।

এসময় মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস বহার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যিনি, তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী। আগামী দিনে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তাদের গড়ে তোলার জন্য শুধু সরকার নয় সমাজের সবার ইচ্ছা, আগ্রহ ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এ সরকার আগামী ২৩ জুনের মধ্যে ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ কাজ সম্পন্ন করবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত ফেলে রাখা হবে না। উৎপাদনের দিক দিযে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দেবে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরা। কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচনালা, পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলার, ধান মাড়াই মেশিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রমাণ করে দেব পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য একটা সম্পদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকায় বিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় বিজয়ী দলের দলনেতা সুজাতা চাকমা। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

আইএইচআর/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।