জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প নেই

জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অন্তত সাতটি লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিরাপদ খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব করা বলেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত থেকে কৃষকদের রক্ষায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
রাষ্ট্রপতি বলেন, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কারণে দেহে ক্যানসার, কিডনি রোগসহ নানারকম মরণব্যধি বাসা বাঁধে। নিরাপদ খাদ্যের জন্য খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ১৩টি বিধিবিধান তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমি আশা করি, দেশের খাদ্য উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের প্রত্যেকে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। মেধা-মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের অঙ্গীকার।
এইচএস/আরএডি