সময় টিভির বার্তাপ্রধানকে পুলিশি হয়রানির ঘটনায় ডিইউজের উদ্বেগ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সময় টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান মুজতবা দানিশকে পুলিশি হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রংপুরে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে মুজতবা দানিশকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ফলে সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির তৈরি হবে।
আরও পড়ুন>> ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি কমেছে: আইনমন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর বিষয়ের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলেও তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো করে এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের সবসময় হয়রানি করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক হয়রানিমূলক ধারা বাতিলের দাবিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বরাবরই অনঢ় অবস্থানে রয়েছে। তারই পরেপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। উল্টো সাংবাদিকরা নানাভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক তৎপরতা বন্ধের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থাকা সাংবাদিক নিবর্তনের ধারাগুলো বাতিলের জোর দাবি জানায়।’
আরও পড়ুন>> ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতি মাসে গড়ে গ্রেফতার ৩২’
ডিইউজের নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন সরকারের বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধুচক্র নিজেদের দুর্নীতি-অনিয়ম-অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ওই চক্রটির কর্মকাণ্ড সরকারের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নীতিকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তেমনি সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা অন্য কোনোভাবে সাংবাদিক হয়রানির যেকোনো পদক্ষেপ মোকাবিলায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সবসময় প্রস্তুত। সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথে অবিরাম সংগ্রাম চলবে।
এনএইচ/ইএ/জিকেএস