জাপানের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি করার প্রস্তাব বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর

প্রকল্পে অর্থায়নে জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ প্রস্তাব দেন প্রতিমন্ত্রী। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জাপানের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুসারে গৃহীত প্রকল্পে আগামী ৫ বছরে আরও ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি করা যেতে পারে। এতে বাংলাদেশের অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। এ জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে (বিপিএমআই) আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান করতে সহযোগিতা করতে পারে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন, যা সবখাতকে নেপথ্যে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জ্বালানি খাতের (গ্যাস ও তেল) বিস্তারিত মহাপরিকল্পনা নেওয়া ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে পারে জাপান।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সবসময় সহযোগিতা করবে জাপান। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে জাইকা। গ্যাস মিটার তৈরিতে জাপানিজ কোম্পানি অনুদার সাফল্য দেখে জাপানের আরও ছোট-বড় কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আসবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র ধারণা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করবে।
এ সময় মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, ভূগর্ভস্থ তার ও সাবস্টেশন, প্রিপেইড মিটার, স্মার্ট মিটার, গ্যাস মিটার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আগত প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরএমএম/এমএএইচ/এমএস