মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের সঙ্গে চার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চার দেশের রাষ্ট্রদূত। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) কারওয়ান বাজারে কমিশনের কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ড্রা ভন লিন্ডে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপুই, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টার ও নেদারল্যান্ডসের অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়ে ড. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান।
কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নবগঠিত কমিশনকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূতরা। কমিশনের চেয়ারম্যান কমিশনের কার্যক্রম ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। এসময় বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে এসব দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে তারা কমিশনের মতামত জানতে চান।
পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার, আসন্ন নির্বাচন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কমিশনের মর্যাদা ও ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউতে কমিশনের প্রতিবেদন প্রণয়ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন সম্পর্কে আলোচনা করেন। কমিশন চেয়ারম্যান বর্তমান কমিশনের অগ্রাধিকার সম্পর্কে তাদের অবগত করেন।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২টি বিষয়ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে মানবাধিকারের সব বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপপ্রচার করে হয়রানির বিষয়ে কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে সরকার ওই অ্যাক্ট রিভিউ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমরা প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে অ্যাডভোকেসি করবো।
বিভিন্ন এনজিওর রেজিস্ট্রেশন পেতে বিলম্ব হয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূতরা। এ বিষয়ে কমিশন চেয়ারম্যান তাদের জানান, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সুরক্ষার নামে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। এজন্য আমাদের আদালতের শরণাপন্নও হতে হয়েছে। এজন্য যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে যাতে একটু বিলম্ব হতে পারে।
এসময় সভায় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/বিএ/জেআইএম