বেইলি রোডের অভিজাত ইফতারি দামেও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩

রমজানে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতারির বেশ সুখ্যাতি আছে। রোজার দিনগুলোতে সেখানে বাহারি ইফতারি পণ্যের পসরা বসে। দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। তবে শুধু চকবাজারই নয়, রাজধানীর বেইলি রোডের অভিজাত ইফতারিও বেশ ঐতিহ্যবাহী। পুরান ঢাকার পাশাপাশি রমজান মাসে বেইলি রোডেও ইফতারি বিক্রির হিড়িক পড়ে। এখানেও বিক্রি হয় নানা ধরনের ইফতারসামগ্রী।

রমজানের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের ইফতারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নগরীর নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন ইফতারি কিনতে। দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পুরো রমজানজুড়েই তাদের বেচাকেনা ভালো থাকে। এবারও তারা ভালো ব্যবসা প্রত্যাশা করছেন। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বছর ইফতারি পণ্যের দাম অনেক বেশি। চড়া দামে ইফতারি পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন।

jagonews24

বেইলি রোডের এই দোকানগুলোতে বছরের অন্য সময় ফাস্টফুড ও পিঠা বিক্রি হলেও রমজানে দোকানিরা ইফতারসামগ্রী বিক্রিতেই ব্যস্ত থাকেন। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

জানা গেছে, সেখানকার দোকানগুলোর মধ্যে নবাবী ভোজ, পিঠা ঘর, জাগেরী রেস্টুরেন্ট ও ক্যাপিটাল ইফতার বাজার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। এসব রেস্টুরেন্টে ইফতারসামগ্রীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চপ, কাবাব, কাচ্চি বিরিয়ানি (খাসি), ফিরনি, খাসির লেগ রোস্ট, বোরহানি, চিকেন রোস্ট (আস্ত), চিকেন ফ্রাই, চিকেন সমুচা, চিকেন ললি, মগজ ভুনা, খাসির হালিম, খাসির গ্রিল চাপ, গরুর চাপ, লুচি, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, কিমার চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, বেসন চপ, ছোলা, বাসমতির জর্দা, চাটনি, পনির সমুচা, নিমক পোড়া, বুন্দিয়া, হালিম, দইবড়া ও কিমা পরোটা এখানে খুব জনপ্রিয়।

jagonews24

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর সব ধরনের ইফতারি পণ্যের দাম বেড়েছে। বিফ শিক কাবাব ২০ টাকা, মাটন বঁটি কাবাব ১০ টাকা, চিকেন বঁটি কাবাব ১০ টাকা এবং অন্য সব ইফতারি পণ্যের দাম ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর মালিবাগ থেকে বেইলি রোডের পিঠা ঘরে ইফতারি কিনতে আসেন সাইফুল ইসলাম। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা এই ক্রেতা ইফতারি কিনে বাসায় ফেরার সময় জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এখানকার ইফতারির মান বেশ ভালো। তাই ইফতারি কিনতে এলাম। তবে প্রায় সব ইফতারির দাম বেশি মনে হচ্ছে। গত বছর তুলনামূলক আরও কম ছিল।

jagonews24

নবাবী ভোজে ইফতারি কিনতে মুগদা থেকে আসেন আমিনুল হক সুমন। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম অনেক বেশি। আগে ২২০ টাকার তেহারি এখন ২৮৫ টাকা। হালিমের হাড়ি গতবারের চেয়ে দাম বেড়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বিফ আইটেমেও ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। এসব ইফতারের দাম বাড়লেও কমেছে পরিমাণ। 

jagonews24

দোকানিরাও বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। তাই দামও বেড়েছে। পিঠা ঘরের বিক্রয়কর্মী রাকিব জাগো নিউজকে বলেন, ইফতারি তৈরি করতে যেসব জিনিস কিনতে হয় সেগুলোর দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেড়েছে। সেজন্য দামও কিছুটা বাড়তি।

আরএসএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।