২৪ মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চুরির ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর এবং সন্দ্বীপ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন আমিরাবাদ কাজীর পুকুরপাড় এলাকার মৃত ধনঞ্জয় ধর ওরফে ধনরাম ধরের ছেলে মিঠন ধর (২৯), আমিরাবাদ ইব্রাহীম সওদাগর বাড়ির নুরুল আব্বাসের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (২৯), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানাধীন গাছুয়া গ্রামের চুম মাঝির বাড়ির আবদুল বাতেনের ছেলে মো. বাবর ওরফে বাবুল (৩৫), কালাপানিয়া গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে মো. শাহেদ (২৬), একই গ্রামের মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. রিপন (৪০)।

উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুরো চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় দিদার হোসেন (৩০) ও নজরুল ইসলাম ওরফে তাহের (৩০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য। মাত্র ১০-২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তারা একটি মোটরসাইকেল চুরি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে পারে। চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশেপাশের এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে সন্দ্বীপ থানা এলাকা এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো বিক্রি করে থাকে চক্রটি। মূলত চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য তারা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সন্দ্বীপকে বেছে নিয়েছে।

ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, চক্রটির মূলহোতা মিঠন ধর এবং মো. বাবর। তারা মিঠন ব্রাদার্স নামে পরিচিত। গত শনিবার সকালে তাদের একটি চোরাই হিরো হোন্ডা স্পিলিন্ডার মডেলের মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ ও রিপনকে সন্দ্বীপ থেকে এবং খোরশেদকে নগরীর ব্রিজঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার ও আরও ২৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা তিন থেকে ছয় বছর ধরে মোটরসাইকেল চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িত। মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে মিঠনের বিরুদ্ধে তিনটি, বাবরের বিরুদ্ধে দুটি এবং খোরশেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী, পরিদর্শক তদন্ত রুবেল হাওলাদারসহ অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।