বেইলি রোডে কমেছে ইফতারির বেচাকেনা

রাজধানীর বেইলি রোড। বাহারি আর অভিজাত ইফতারির পরিচিত এক বাজার। বাহারি ইফতার বিক্রি হয় এখানের বেশ কয়েকটি দোকানে। দুপুর থেকেই ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। সেগুলো কেনার জন্য নগরীর নানান প্রান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ। এই বাজারেও গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতাদের ভিড় কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার অধিকাংশ ইফতার পণ্যের দামই বেশি।
রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে বেইলি রোডে গিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
নবাবী ভোজ, পিঠা ঘর অ্যান্ড জ্যাগরী রেস্টুরেন্ট, ক্যাপিটাল ইফতার বাজারে বিক্রি হয় বাহারি ধরনের ইফতারি। এসব রেস্টুরেন্টে সাধারণত ফাস্টফুড, পিঠা বিক্রি হলেও রোজার মাসে বিক্রি হয় ইফতারের সামগ্রী। বাহারি সব পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানগুলো।
বেইলি রোডের দোকানগুলোতে রয়েছে হালিম, কাবাব, কাচ্চি বিরিয়ানি (খাসি), ফিরনি, খাসির লেগ রোস্ট, বোরহানি, চিকেন রোস্ট (আস্ত), চিকেন ফ্রাই, চিকেন সমুচা, চিকেন ললি, মগজ ভুনা, খাসির হালিম, খাসির গ্রিল চাপ, গরুর চাপ, লুচি, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, কিমার চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, বেসন চপ, ছোলা, বাসমতির জর্দা, নিমক পোড়া, বুন্দিয়া, দইবড়া ও কিমা পরোটা।
বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, নানান ধরনের খাবার থাকলেও গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম।
বিক্রয়কর্মী মো. রাকিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার লোকজন কম। বিক্রিও কম। আবার গত দুইদিন বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যাও হয়েছে।
নবাবি ভোজের দোকানি কামরুল বলেন, এবার বেচাকেনা কম হচ্ছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। এর একটা প্রভাব হয়তো পড়তে পারে।
ক্রেতারা বলছেন, প্রায় সবগুলো ইফতার পণ্যের দাম বেড়েছে। দোকানিরাও এতে দ্বিমত করেননি।
আরও পড়ুন: মাইকে ডেকে দুস্থদের খাওয়ানো হয় ইফতার
বিভিন্ন দোকানে কথা বলে জানা যায়, বিফ শিক কাবাবে দাম বেড়েছে ২০ টাকা, মাটন বটি কাবাবের দাম বেড়েছে ১০ টাকা, চিকেন বটি কাবাবের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব পণ্যের দাম ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হালিমের হাড়ি অনুযায়ী গতবারের চেয়ে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এ নিয়ে শাহরিয়ার নামের এক ক্রেতা বলেন, আগে অনেক কিছু নিয়ে যেতাম। এখন এত দাম, প্রতিদিন সব আইটেম নেওয়া হয় না। একেকদিন একেক আইটেম কিনতে হচ্ছে।
আরএসএম/এমএইচআর/জেআইএম