বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী
অন্তত রমজানে জনগণকে আন্দোলন থেকে নিস্তার দেন
পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলন ঘোষণা করায় বিএনপির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) এই রমজান মাসেও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। অন্তত এই রমজান মাসে তো জনগণকে আন্দোলন থেকে নিস্তার দেন।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রমজান মাসে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে খালেদা জিয়া ১৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াই
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যারা রমজান মাসে মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, তারা রমজানের প্রতি সম্মান দেখাবে কি করে? তাইতো তারা এই মাসেও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাস ও মানুষের দুর্ভোগের প্রতি তাদের কোনো অনুভূতিই নেই।
এদিকে উন্নয়নের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আন্দোলনের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ইফতার পার্টি না করে রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য তাদের মধ্যে এই অর্থ ও খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন না দেখায় বিএনপি নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র ভবন পরিদর্শনে যা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে হুমায়ুন কবির ও এসএম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ-সভাপতি সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
এসইউজে/জেডএইচ/এমএস