ইফতারে মহল্লায় ভরসা ভাজা-পোড়া

অভিজাত এলাকার ইফতারির পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার দোকানের ইফতারও জমজমাট। তবে মহল্লায় ইফতারে নেই ভিন্নতা। গতানুগতিক সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর। তবে ইফতারের মান নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন, আগের মতো প্রতিটি পণ্যের আকার থাকলেও দাম অনেকটা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইফতারি তৈরিতে গত বছরের তুলনায় খরচ বেশি পড়ছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুর, মুগদা, বাসাবো, শাহজাহানপুর, শান্তিবাগ ও গুলবাগ এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। এসব এলাকার পাড়া-মহল্লায় দেখা যায়, প্রতি পিস পাকোড়া ১০ টাকা, সমুচা-সিঙাড়া বিক্রি ১০ টাকা, চিকেন সমুচা ১৫ থেকে ২০ টাকা, রোল ২০ থেকে ৩০ টাকা, রুমালি পরোটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিকেন ছাবলি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, জালি কাবাব ২০ টাকা, সাসলিক কাবাব ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া ১০০ গ্রাম ছোলা (বুট) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, বেগুনি ৫ থেকে ১০ টাকা, পেঁয়াজু ৫ থেকে ১০ টাকা, প্রতি পিস জিলাপি ১০ টাকা, প্রতি ১০০ গ্রাম জিলাপি ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাসাবো এলাকার বাসিন্দা নাফিজা বলেন, গত বছরের মতো সব পণ্য বানানো হয়েছে কিন্তু দাম এবার বেশি নেওয়া হচ্ছে। এর আগে একটা পাকোড়া ৫ টাকায় কেনা গেছে, এবার একলাফে সেটি ১০ টাকা করা হয়েছে। জিলাপির দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। এখানে দাম বাড়লেও আকার রয়েছে আগের মতোই। একইভাবে ছোলার দাম বাড়ানো হয়েছে।
সোলায়মান নামে একজন এসেছেন পরিবারের জন্য ইফতার কিনতে। তিনি বলেন, এ বছর পাড়া-মহল্লায় জিনিসের দামও বেড়ে গেছে। পেঁয়াজু-সমুচা-চপের দাম বেড়েছে। এগুলোর মূল উপকরণ আলু-পেঁয়াজের অভাব নেই বাজারে। পেঁয়াজের দাম গত বছরের চেয়ে কম কিন্তু পেঁয়াজুর দাম বেড়েছে। কোনো জিনিসের দাম বাড়লে তো পরিমাণও বাড়ে কিন্তু এখানে সেটা নেই। পরোটার দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান হওয়া দরকার।
তবে ক্রেতাদের এসব অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন মুগদা এলাকার দোকানি আব্দুল জব্বার মিয়া। তিনি বলেন, এ বছর নিত্যপণ্যের প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। বেসন, আটা, মসলাসহ প্রতিটি পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেশি। এসব কারণে হয়তো কিছুটা দাম বেশি।
একই কথা জানান শাহজাহানপুর এলাকার দোকানি বোরহান। তিনি বলেন, আমি গ্রাম থেকে একজন লোক এনেছি জিলাপি তৈরির জন্য। তার বেতন ৪০ হাজার টাকা। চিনির দাম বেড়েছে। তাহলে বলেন, জিলাপি আর পেঁয়াজু কত টাকায় বিক্রি করতে হবে আমাকে। আমারও সংসার আছে, দোকান খরচ আছে। তবে সবকিছুর দাম কমলে আমরাও দাম কময়ে দেবো।
ইএআর/বিএ/এএসএম