যারা ইলিশ ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ ধ্বংসে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় ইলিশে পরিণত করা। এতে মৎস্যজীবীরা বড় মাছ পেয়ে বেশি টাকা পাবেন। মা ইলিশ ছয় লাখ ডিম দিতে পারে। সেখানে ১০ হাজার বাচ্চা বড় হলেও বিপুল লাভ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২’ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অভিযান সম্পর্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, অভিযানে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। গরিবদের অর্থায়ন করে হামলা করতে বাধ্য করে। তারা পেছনে মদত দেয়। মেহেন্দিগঞ্জে ওসিকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যারা হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের কারাগারে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: পদ্মার এক ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি

তিনি বলেন, জেলেদের ২০ কেজির পরিবর্তে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ছাগল-গরুসহ অন্যান্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০টি জেলায় এসব কার্যক্রম চলমান। প্রতিবছর মৎস্যজীবীদের তালিকা প্রণয়ন করতে কমিটি রয়েছে। ইউএনও, ইউপি মেম্বাররাও তালিকায় রয়েছে। প্রকৃত তালিকা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩০ হাজার জেলেকে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, ১৪ বছরে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে সাড়ে পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের বেশি। যার মূল্য ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান ৫ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন। কর্মসংস্থান রয়েছে ৩০ লাখ মানুষের। সেখানে ছয় লাখ মানুষ সরাসরি ও ২০-২৫ লাখ মানুষ ইলিশ পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে জড়িত।

আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ঘোষণা

এতে আরও জানানো হয়, ইলিশ আহরণে ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশই বাংলাদেশের নদ-নদী থেকে আহরণ করা হয়ে থাকে। দেশে ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রম করা হয়েছে। সেখানে জমির পরিমাণ ৪৩২ কিলোমিটার। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০০৬-৭ থেকে শুরু হয়ে চলমান আছে। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩৮টি জেলা ও ১৭৪টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশে মোট মাছের আহরণের মধ্যে ইলিশের অবদান ১১.৯১ শতাংশ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

এমওএস/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।