রাজধানীতে নিরাপত্তারক্ষীর গলায় গামছা প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফকিরাপুলের জিন্নাত টাওয়ার থেকে মো. গোলাম সরোয়ার (৬০) নামে একজন নিরাপত্তারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে রান্নাঘরের গ্রিলের সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের ধারণা, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সরোয়ার মারা গেছেন।

গোলাম সরোয়ার নড়াইল সদর জেলার ভুয়াখালী গ্রামের মৃত পাঞ্জু শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি ফকিরাপুল জিন্নাত টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি কক্ষে থাকতেন। সরোয়ার এক ছেলে এক মেয়ের জনক।

নিহতের সহকর্মী ও ভবন সংশ্লিষ্টরা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। তবে নিহত সরোয়ারের ভাইয়ের অভিযোগ, তার ভাইকে বালিশ চাপা দিয়ে হতা করা হয়েছে। পরে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

নিহত গোলাম সরোয়ারের সহকর্মী আকাশ বলেন, ‘সেহরির আগে (রাত সাড়ে ৩টার দিকে) ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের রান্নাঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে তাকে (সরোয়ার) গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তবে কী কারণে সরোয়ার আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।

তবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন নিহতের ভাই জাহিদ শেখ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই প্রায় সাত বছর সিকিউরিটির চাকরি করেছেন। তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে কে বা কারা গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখেছেন।’

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় আছে, তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

কাজী আল-আমিন/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।