জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় অল্প আহারে ইফতার সারেন রোজাদাররা
জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। তবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। রমজানে বিভিন্ন পণ্যের দাম আরও বাড়ায় অনেকের স্বাভাবিক জীবনযাপন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার নির্ধারিত দামে কিছু পণ্য বিক্রি করলেও অনেক পণ্যের দাম এখন শ্রমজীবী মানুষের নাগালের বাইরে। অনেকেই ব্যয় কমাতে প্রয়োজনের তুলনায় কম কেনেন ইফতার সামগ্রী। ইফতার সামগ্রীর দামও গতবারের তুলনায় বেশি হওয়ায় কমেছে বেচাকেনা।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, নিমতলী, কায়েতটুলিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার অলিগলিতে ইফতার সামগ্রীর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
পুরান ঢাকার কায়েতটুলির বাসিন্দা ফরিদা। রিকশাচালক স্বামী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে অভাবের সংসারে অনেক কিছু বাদ দিয়েই করেন ইফতার। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। দাম বাড়ার কারণে যেখানে পাঁচটা জিনিস দরকার সেখানে দুটা কিনতে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের কোনোমতে বুঝিয়ে চলছি।
চাঁনখারপুলে মো. রনি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, সবকিছুর দামই বেশি, তাই অল্প অল্প করে নিচ্ছি। ইফতার তো করতে হবে। সবাই মিলে ইফতার করবো এটাই ভালো লাগে।
অলিগলির ইফতারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় তেলে ভাজা ইফতার সামগ্রী। এসব ইফতার স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও অনেককে বাধ্য হয়েই কিনতে হয়।এসব এলাকায় যারা ব্যাচেলর বা শিক্ষার্থী তাদের জন্য গলির দোকানই ভরসা।
নাজিমউদ্দিন রোডে আজমাইন ফায়েক ফাহিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বাসায় ইফতার সামগ্রী বানানো হয় না। পরিচিত একটা দোকান থেকে ইফতার কিনি। এসব দোকানে কীভাবে ইফতার সামগ্রী বানানো হয়, তাতো দেখি না। তারপরও এসব দোকানের ওপরই নির্ভর করতে হয়। তাই অনেক সময়ই ফল কেনা হয় ইফতারের জন্য।
ইফতার বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, তেলসহ সবকিছুর দাম বাড়তি। তাই ইফতার আইটেম কম তৈরি করতে হয়। কারণ ক্রেতাও কম, বিক্রিও কম।
বিক্রেতা রাকিব বলেন, এখন আর ভাজাপোড়া বেশি বিক্রি হয় না। এছাড়া দোকান অনেক। আগে বিক্রিও বেশি হতো দোকানও কম ছিল। এখন বিক্রি হয় মোটামুটি।
ফল বিক্রেতা রুমান বলেন, গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। তাই বেচাকেনা খুবই কম। ১০ টাকার পণ্য ১৮ টাকা। গত বছর থেকে এবার অর্ধেকে নেমেছে বিক্রি। এখন সারাদিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়।
আরএসএম/এমএএইচ/এমএস