বিএসএমএমইউতে রিউমাটোলজি স্পেশালাইজড ক্লিনিক উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চালু হলো রিউমাটোলজি স্পেশালাইজড ক্লিনিক। মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্লিনিকটির উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ এর ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
রিউমাটোলজি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, রিউমাটোলজি মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান বক্তা ছিলেন, ডা. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। বিএসএমএমইউ’র বহির্বিভাগ ভবন-১ এর ৪০৯ নম্বর কক্ষে রোগীরা বিশেষায়িত এ ক্লিনিকের সেবাটি নিতে পারবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমান প্রশাসন নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও নির্মোহভাবে রোগীদের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের মেডিক্যাল শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীরা যাতে কোনোরকম ভোগান্তির শিকার না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। দেশের সবচেয়ে অগ্রসরমান স্বাস্থ্যসেবা খাত দিন দিন আরো এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এ আজ বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় ও সুন্দরতম দেশ। এ দেশ আজ অপার সম্ভাবনার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সর্বক্ষেত্রেই এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। চিকিৎসকবৃন্দকে আত্মমর্যদা যথাযথভাবে উপলব্ধি করার মাধ্যমে মহান পেশা চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবাকে আরো আরো এগিয়ে নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ রোগীদেরকে বিশেষায়িত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈকালিন বিশেষায়িত বিশেষজ্ঞ সেবার মাধ্যমে রোগীরা ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
রিউমাটোলজি স্পেশালাইজড ক্লিনিকের বিষয়ে রিউমাটোলজি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী জানান, ১২০টি বড় ধরনের রোগসহ ৬ শতাধিক রোগ রিউমাটোলজির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা রোগীরা রিউমাটোলজি বলতে শুধু বাতজ্বরকেই জানেন। আসলে বাতজ্বর হলো বাতরোগসমূহের একটিমাত্র রোগ।
তিনি জানান, আজ স্পনডাইলোঅর্থাটিস, আরলি অর্থাটিস ও রিউমাটোরেট অর্থাটিস (আরএ) যে ক্লিনিকটি চালু হলো এর মাধ্যমে বাতরোগসমূহে আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রাথমিকভাবেই চিহ্নিত করা ও সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা সহজ হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তুলনামূলকভাবে তরুণ বয়সে বা কর্মক্ষম বয়সে এ রোগে পুরুষ ও মহিলারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। পুরুষরা (স্পনডাইলোঅর্থাটিস) ১৮ থেকে ৪০ বছর এবং মহিলারা (আরএ) ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয়।
এ রোগের লক্ষণ হলো গিঁট ফুলে যাওয়া, কোমড় ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা। যা পরবর্তী সময়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে রোগী এক সময় পঙ্গু হয়ে যায়। কিন্তু এ রোগ ও রোগের চিকিৎসার বিষয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। ফলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগীরা তাদের মূল্যবান কর্মক্ষম বয়সে সীমাহীন কষ্টে ভুগছেন।
এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি