এশিয়ায় গ্যাস টার্মিনাল, পাইপলাইন সম্প্রসারণে জলবায়ু সমস্যা বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ০৫ মে ২০২৩

‘এশিয়ায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল, পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং পাইপলাইন সম্প্রসারণের জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চলছে। আমাদের এ প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন নেই’ বলে উল্লেখ করেছেন এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক লিডি ন্যাকপিল।

তিনি জানান, এগুলো এ অঞ্চলে জলবায়ু সংকট ও জ্বালানি সংকট সমাধানের পরিবর্তে আরও সমস্যা তৈরি করবে, কারণ গ্যাস কয়লার মতোই ক্ষতিকর।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইকুয়িটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, বেলা, ব্রতী, ক্লিন, ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ এশিয়া পাসিফিক, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও একযোগে ডোন্ট গ্যাস এশিয়া ক্যাম্পেইনের সূচনা উপলক্ষে মুকাভিনয় ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জানানো হয়, জীবাশ্ম জ্বালানির এ ভয়াবহ সম্প্রসারণ রুখে দিতে ঢাকার পাশাপাশি একযোগে আজ টোকিও, ম্যানিলা, ইঞ্চিওন, মান্ডালুইয়ং, জাকার্তা, চিয়াং মাই, হ্যানয়, কলকাতা, লাহোর ও করাচিতেও এ ‘ডোন্ট গ্যাস এশিয়া’ ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু হয়। পুরো এশিয়াতে এ সমাবেশ আয়োজন ও সমন্বয় করেছে এশিয়া এনার্জি নেটওয়ার্ক এবং এপিএমডিডি (এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট ফর ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)।

jagonews24

অনুষ্ঠানে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, উন্নত দেশগুলোহ এরই মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি গুরুত্বারোপ করছে। তারা বিভিন্ন বছর লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারণ করে ঘোষণা দিয়েছে যে এ নির্ধারিত সময়ের পর তারা আর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না। কিন্তু এ উন্নত দেশগুলোই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উন্নয়নের নামে জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে এ জনপদের মানুষকে এক অপূরণীয় ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশীদ বলেন, মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমি বলতে পারি যে মানবাধিকারের জায়গাটা তিলে তিলে হারিয়ে যাচ্ছে। এ বায়ুদূষণ, পরিবেশ দূষণ আমার খাদ্য, জলসহ প্রতিদিনের বসবাসের প্রতিটি ক্ষেত্র ধ্বংস করে ফেলছে। উপকূলজুড়ে আমার কাজ রয়েছে; সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আজ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া, সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব। আর এ জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে আমাদের আজকের এ ইস্যু, জীবাশ্ম জ্বালানি। সরকারকে বুঝতে হবে যত দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপরে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে তত দ্রুত আমরা ধ্বংসের হাত থেকে এ দেশ রক্ষা করা যাবে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম বদরুল আলম, ফ্ৰেন্ডস অব দ্য আর্থ এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধি বারীশ হাসান চৌধুরী, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম তুব্বুস, গ্লোবাল ল থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতা, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী এস জেড অপু প্রমুখ।

এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।